শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেলসহ ২৫ নেতার পদত্যাগ

Tue 23 Feb 2010
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ২৫ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে মামুন ছাড়া ২৪ জনই গতকাল একযোগে পদত্যাগ করেছেন। শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা ৪১। এক সপ্তাহে আগে ডা. মামুন সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তাঁকে জানানো হয়।
গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় কমিটির ২৪ জন সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
পদত্যাগী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. আবদুল্লাহ-আল মামুন গতকাল সোমবার রাতে কালের কণ্ঠের কাছে তাঁর পদত্যাগের কথা স্বীকার করেন। নির্বাচিত হয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারাই তাঁর পদত্যাগের কারণ বলে তিনি জানান। তাহলে কি শিবির দুই ভাগ হয়ে গেল_এ রকম এক প্রশ্নের জবাবে মামুন বলেন, এখন নতুন করে কেন্দ্রীয় পরিষদ গঠন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে মো. রেজাউল করিম সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে সদস্যদের পরামর্শে ডা. আবদুল্লাহ-আল মামুনকে সেক্রেটারি জেনারেল মনোনয়ন দেন তিনি। রেজাউল দ্বিতীয় মেয়াদে শিবিরের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় একটি অংশের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। একই সঙ্গে শিবিরের বিদায়ী সেক্রেটারি শিশির মো. মনিরকে নতুন কমিটিতে না রাখায় ওই অংশটি ক্ষুব্ধ হয়। তারা 'সেভ শিবির' শিরোনামে পাঠানো ই-মেইল বার্তায় সভাপতি রেজাউলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আনে। এই ই-মেইল পাঠানো হয় বিভিন্ন মিডিয়ায়।
পরে এসব অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে কমিটির পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে শিবিরের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়।