শিবিরের দলছুটদের ফেরাতে ফল ঘোষণায় কালক্ষেপণ

২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর দুই দিন পার হয়ে গেলেও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে শিবির সভাপতি মুহাম্মদ রেজাউল করিম কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, শুক্রবার ফল প্রকাশ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নতুন কার্যকরী পরিষদের নাম প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় দলছুটরা যেন আবার কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেজন্য সময়ক্ষেপণ করে বিদ্রোহীদের দলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিদ্রোহীদের কয়েকজন ফিরে এলেও পদত্যাগী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনসহ সাতজন এখনো অনমনীয়। জানা গেছে, ওই ক'জনকে ফিরিয়ে নিতে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বেও দ্বিমত আছে। যাঁদের ঘিরে দ্বিমত, তাঁদের মধ্যে সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মামুন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক শাহ মো. ফয়সাল ও প্রচার সম্পাদক গোলাম মাওলা শিমুল উল্লেখযোগ্য।
ডা. মামুনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি আর শিবিরের সঙ্গে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজের পেশায় মনোযোগী হবেন তিনি। তবে যাঁকে কেন্দ্র করে শিবিরের এই সংকট, সেই বিদায়ী সেক্রেটারি জেনারেল শিশির মোহাম্মদ মনির জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ফরম পূরণ করেছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেও শিবির সভাপতিকে পাওয়া যায়নি। তবে শিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক আতিকুর রহমান সরকার বলেন, 'প্রস্তুতির অভাবে ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হয়নি।' তবে তিনি ভোট গণনা শেষ হয়েছে বলে প্রতিবেদককে জানান। ভোট গণনার পরও ফল ঘোষণায় বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে আতিকুর রহমান বলেন, 'কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত পরিষদ সদস্যদের ফল জানাবেন, নতুন সদস্য মনোনীত করে তাঁদের শপথ করাবেন। এর পর পরিষদের অধিবেশনে নতুন সেক্রেটারি জেনারেল মনোনয়ন ও তাঁদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করবেন। সব কাজ একসঙ্গে করতেই সময় লাগছে। দু-একদিনের মধ্যে কমিটি ঘোষণা হতে পারে।' এদিকে বিদ্রোহী অংশটি গত দুই দিন ধরে মোবাইল বন্ধ রেখেছে।