বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম - ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১০
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক ছাত্র সংগঠন যার প্রতিটি স্তরের জনশক্তি পরিচালিত হয় সততা, আনুগত্য, পরামর্শ ও এহতেসাব এর মাধ্যমে। গীবত, গর্ব, অহংকার আর প্রদর্শনেচ্ছার যেখানে বিন্দুমাত্র স্থান নেই সেখানে আজ এ মানবিক দুর্বলতাগুলো আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে বসেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। যে সত্য ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল ছাত্রশিবির সে ভিত আজ নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। সমাজের সাধারণ মানুষ ও শুভাকাঙ্খীদের দোয়া ও সৎ পরামর্শ যেখানে ছাত্রশিবিরকে জনগণের মনের মনিকোঠায় স্থান করে দিয়েছে, আজ সে সংগঠন জনশক্তি ও শুভাকাঙখীদের কাছে হতে বসেছে প্রশ্নবিদ্ধ। যে সংগঠনের মান ও দক্ষতা নিয়ে অন্যান্য সংগঠন প্রশ্ন তুলতে ভয় পেত, আমাদের প্রাণপ্রিয় সে সংগঠনকে নিয়ে অনাস্থা তৈরী হয়েছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব রেজাউল করিম এর স্বেচ্ছাচারীতা সংগঠনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের পর সারা দেশে এর কালো ছায়া পুরো সংগঠনকে করেছে কলুষিত।
আজ এ পর্যায়ে জনাব রেজাউল করিম দ্বারা উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরছি।
(১) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর সংবিধানের ২৩নং ধারা মতে “বছরে কার্যকরী পরিষদের দুটি সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রয়োজন বোধ করলে অথবা কার্যকরী পরিষদের এক পঞ্চমাংশ সদস্য অথবা সংগঠনের সদস্যদের এক দশমাংশ কেন্দ্রীয় সভাপতির নিকট লিখিতভাবে দাবি করলে কার্যকরী পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কার্যকরী পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের দাবি পেশ করার দিন থেকে এক মাসের মধ্যেই অধিবেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত ২২ জানুয়ারী ’১০ জরুরী কার্যকরী পরিষদের অধিবেশন আহবান করার জন্য ১৩জন কার্যকরী পরিষদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি নোটিশ জনাব রেজাউল করিম বরাবর প্রদান করা হয় কিন্তু অধিবেশন আহবান না করার প্রচেষ্টায় ১৩ জনের প্রত্যেকের সাথে কথা বলে প্রভাবান্বিত করার চেষ্টা করেছেন (নিজে ও জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীলদের দিয়ে)।
(২) ২৬ জানুয়ারী ৫২৩ জন এবং ২৭ জানুয়ারী পূর্বেরসহ মোট ৭৭৫ জন (এক দশমাংশ, ৪১৩ জন) সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অনাস্থা প্রস্তাব জনাব রেজাউল করিম ও সকল পরিষদ সদস্যের কাছে জমা দেয়া হয়। তিনি ময়মনসিংহ শহর ও বাকৃবি শাখা সেটআপ করার জন্য বাসা থেকে রওয়ানা হন। পরে সদস্যদের প্রশ্নের মুখে সেটআপ না করে ঢাকায় ফিরেন।
(৩) ছাত্রশিবিরের ইতিহাসে এবার ঐতিহ্য বিরোধী অধ্যায় রচিত হয়েছে ২৪ জানুয়ারী নতুন কার্য়করী পরিষদের জন্য ভোটার তালিকা তৈরী করে শাখায় পাঠানোর মধ্য দিয়ে । অন্যদিকে তখনও ৮টি সদস্য শাখা ও ২টি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সাথী শাখার সেটাপ করার বাকি ছিল। বরিশাল মহানগরীতে সেটাপ না করে মহানগরী সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর ছাত্রজীবন শেষ দেখানো হয়।
(৪) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবিধানের ধারা ২৬ এ বলা হয়েছে “কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সাথে পরামর্শ করে সেক্রেটারী জেনারেল ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভাগীয় সেক্রেটারীর সমন্বয়ে সেক্রেটারিয়েট গঠন করবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনবোধে পূর্ণ বা আংশিকভাবে তার সেক্রেটারিয়েটে রদবদল করতে পারবেন।”
অন্যদিকে সংবিধানের ধারা-১৭ এ বলা হয়েছে “কেন্দ্রীয় সভাপতি সব সময় কার্যকরী পরিষদের পরামর্শ অনুসারে কাজ করবেন। কিন্তু দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন ও কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত নেই এমন কোন বিষয়ে জরুরী ও সাময়িক পদপে গ্রহণের প্রয়োজন হলে তিনি এ নিয়মের অধীন থাকবেন না।”
সেক্রেটারী জেনারেল মনোনয়ন অতীব গুরুত্বপূর্ণ পদ বিধায় এ দুটো ধারা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কার্যকরী পরিষদ এর পরামর্শের আলোকেই সেক্রেটারী জেনারেল মনোনীত হবেন। অন্যদিকে সদস্য শাখা, কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সাথী শাখা ও জেলা শাখার সেক্রেটারী মনোনয়নের ক্ষেত্রে কোন নির্দেশনা সংবিধানে নেই। জনাব রেজাউল করিম শুধু ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে সেক্রেটারী জেনারেলের মনোনয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। যার ফলাফল সারা দেশের জনশক্তির মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে। আজ জনশক্তির মধ্যে স্বতঃস্ফুর্ততা হারিয়ে গেছে। শুভাকাঙ্খী ও জনশক্তিদের প্রশ্নবানে জর্জরিত আজ গোটা বাংলাদেশের দায়িত্বশীলরা।
(৫) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব রেজাউল করিম বায়তুলমালের অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা ও অস্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছেন। বায়তুলমাল কমিটি গঠন করলেও তিনি কমিটির কোন অনুমোদন ছাড়াই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন বিনা দ্বিধায়। ২০০৯ সালের জুন মাসে এসে ২০০৭ ও ২০০৮ সালের ভাউচার নাম মাত্র জমা দিয়েছেন যাতে কোন সাপোর্টিং ভাউচার বা রিসিভড্ কপি নেই। যার পরিমাণ প্রায় ২৩৭০০০/- (দুই লক্ষ সাইত্রিশ হাজার টাকা)। অন্যদিকে একজন কাপ সদস্যের থেকে গ্রহন করা রিসিভড্ কপি বায়তুলমাল বিভাগে ভাউচার হিসেবে জমা দিয়েছেন। অথচ সেই কাপ সদস্যের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় তিনি এই টাকা নেন নি।
জনাব রেজাউল করিম গত ডিসেম্বর মাসে বিয়ে করার পূর্ব প্রস্তুতি স্বরূপ চার মাসের বাসা ভাড়া ও আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ ১,০০,০০০/- (একলক্ষ টাকা) বায়তুলমাল থেকে গ্রহণ করে ৭৫০০০/- (পচাত্তর হাজার) টাকার ভাউচার প্রদান করেন। পরে সমালোচনার মুখে চেক দিয়ে নিজেকে এ থেকে বাঁচানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে বায়তুলমাল থেকে ধার নিয়েছেন বলে প্রচার করেন। কিন্তু বায়তুলমাল থেকে ধার হিসেবে গ্রহণ করলে ভাউচার প্রদানের যৌক্তিকতা থাকেনা। তিনি পিএইচডি করার নামে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার টাকা) গ্রহণ করেছেন এবং পিএইচডি করতে সহায়তাকারী শিক্ষককে অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন কমিটির কোন অনুমোদন ছাড়াই।
(৬) জনাব রেজাউল করিম বিভিন্ন সময়ে জঘন্য মিথ্যাচার করেছেন বিভিন্ন দায়িত্বশীল সম্পর্কে যা খুবই নিন্দনীয়।
(ক) কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে রেজাউল করিম তার ছাত্রজীবন ও বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে অধিকাংশ সেক্রেটারিয়েট সদস্যদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, ছাত্রজীবন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে উর্ধ্বতন সংগঠনের চাপ আছে, কিন্তু বাস্তবে তার কোন সত্যতা মিলেনি।
(খ) এছাড়া তার লেখা বই, কলাম ও পিএইচডি থিসিস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
(গ) বিভিন্ন সময়ে সেক্রেটারীয়েট সদস্যদের সাথে কথা বলার সময় ভুল তথ্য দিয়েছেন। বিভিন্ন শাখার সদস্যকে ফোন করে উদ্ভুত পরিস্থিতি ২/৩জন বিশৃংখলাকারী “ট্র্যাকের বাইরের লোকের” কাজ বলে অভিহিত করেছেন।
(৭) সংবিধানের ধারা ১৬ মতে “কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হাসিল, পরিচালনা, কর্মসূচির বাস্তবায়ন এবং সর্বোৎকৃষ্ট সাংগঠনিক শৃংখলা প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ।” অথচ সংগঠনের সকল শৃংখলা ও নিয়মকানুনকে বাধাগ্রস্ত করে নিজের পদকে পাকাপোক্ত করার জন্য একটি অসহনীয় পরিবেশ তৈরী করেছেন। সংবিধান যে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে তাকে সব সময়ই তিনি অবজ্ঞা করেছেন। বিভিন্ন শাখায় সেটআপ করার জন্য জনাব রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত ব্যালটে সদস্যরা ভোট না দিয়ে সেটি ছিঁড়ে বা অপর পৃষ্ঠায় ভোট দিয়ে অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
(৮) এই প্রেক্ষিতে বিগত ২৮, ২৯, ৩০ জানুয়ারী কার্যকরী পরিষদের জরুরী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদে উদ্ভুত পরিস্থিতির উপর সকল পরিষদ সদস্যরা আলোচনা করেন এবং সেখানে প্রায় সকল সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। পরিষদে চুড়ান্তভাবে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ার প্রেক্ষিতে সাবেক ৫জন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে কমিটি সবার সাথে আলোচনা করে একটি প্রস্তাবনা পরিষদের কাছে পেশ করবেন। কিন্তু সর্বশেষ কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজাউল করিম-
১. এই কমিটির ফাইনাল প্রস্তাবনা আসার আগেই কমিটিসহ, পরিষদ সদস্য ও সেক্রেটারী জেনারেলকে এড়িয়ে কার্যকরি পরিষদের নির্বাচনী তৎপরতা চালানোর চেষ্টা।
২. ২০১০সেশনের সেক্রেটারী জেনারেলকে পদত্যাগে বাধ্য করানো।
৩. বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংগঠনকে সঠিক কোন গাইড করতে ব্যর্থ হওয়ার (মোবাইল বন্ধ রাখা, পরিষদের সাথে সমন্বয় না রাখা, জনশক্তি ও সংগঠনকে সঠিক দিক নির্দেশনা না দেয়া) প্রেক্ষিতে বর্তমানে তাঁর কার্যক্রমে সংগঠনের সমূহ ক্ষতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
(৯) ধারা নং ৪১ মতে “কেন্দ্রীয় সভাপতি যদি স্বেচ্ছায় শরীয়তের স্পষ্ট বিধান লঙ্ঘন করেন অথবা তার কার্যক্রমে সংগঠনের তি হবার আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে তাকে পদচ্যুত করা যাবে।”
তিনি মিথ্যাচার (অনার্সে ফার্স্ট কাস ফার্স্ট না হয়েও বইয়ে ফার্স্ট ক্লাস লিখেছেন), অপবাদ আর অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে শরীয়তের যে সুস্পষ্ট লংঘন করেছেন তা সহজেই অনুমেয়। অন্যদিকে অভিযোগকারী সদস্যদের প্রলোভন দেখানো, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে বাঁধাদান, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিদের ব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক কার্যাবলী সংগঠনকে ক্ষতির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
(১০) সংবিধানের ৪২নং ধারায় বলা হয়েছে “যদি কার্যকরী পরিষদের অধিকাংশ সদস্য কেন্দ্রীয় সভাপতির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন, তাহলে এক মাসের মধ্যে পূর্ণ বিষয়টি সদস্যদের নিকট পেশ করতে হবে। অধিকাংশ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে কেন্দ্রীয় সভাপতি পদচ্যুত হবেন। অধিকাংশ সদস্য সভাপতির সমর্থনে ভোট দিলে কার্যকরী পরিষদ পদচ্যুত হবেন এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
সংবিধানের ২২নং ধারায় কার্যকরী পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব বলা হয়েছে “ সামগ্রিকভাবে কার্যকরী পরিষদের ও ব্যক্তিগতভাবে এর সদস্যদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদের তত্বাবধান, কেন্দ্রীয় সভাপতির তত্বাবধান, সংগঠনে ইসলামী নীতির অনুসৃতির তত্বাবধান, সংগঠনের কর্মসূচী বাস্তবায়নের তত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণ, সংবিধান অনুসৃতির তত্বাবধান, সংগঠনের যে কোন ত্রুটি দূরীকরণ, সংগঠনের সামগ্রিক কাজের মৌলিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, কেন্দ্রীয় সভাপতিকে পরামর্শ দান, নিঃসংকোচে মত প্রকাশ এবং কার্যকরী পরিষদের অধিবেশনে নিয়মিত যোগদান অথবা অভিমত প্রেরণ।”
উপরোক্ত ধারা অনুসারে কার্যকরী পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে সংগঠনের এই ক্রান্তিলগ্নে সময়োপযোগী ভূমিকা সদস্য শপথ ও কার্যকরী পরিষদের শপথের দাবী। এমতাবস্থায় সংগঠনকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা, সাংগঠনিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনা এবং সংগঠনের গ্রহণযোগ্যতা সর্বমহলে রক্ষার স্বার্থে সংবিধানের ৪২নং ধারায় বর্ণিত কার্যকরী পরিষদকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমরা কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব রেজাউল করিমের উপর অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করছি-
সংযুক্তি : পরিষদ সদস্যদের নাম ও স্বাক্ষর
অনুলিপি প্রদান :
১. প্রধান নির্বাচন কমিশনার
২. সহকারী নির্বাচন কমিশনার বৃন্দ
৩. পরিষদের সদস্যবৃন্দ